সীমান্ত ব্যুরো: শ্রাবণের প্রবল বর্ষনের পানিতে তলিয়ে গেছে ভোমরা স্থল বন্দরের রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। হাঁটু পরিমাণ বর্ষার পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠ। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের নীচ তলার শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করেছে বর্ষার পানি। সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
জলাবদ্ধতার পানিতে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। বর্ষাধৌত নোংরা পানি শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করায় পানিবাহিত দুরারোগ্য ব্যাধির আশংকায় ভুগছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এমন কি জলবদ্ধতা স্থায়ী থাকলে এডিস মশার জন্ম নেওয়ারও শংকা রয়েছে।
রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরাশনের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইক প্রচারের মাধ্যমে এক মতবিনিময় সভার আহবান করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বন্দর সড়কের পাশে খোলা আকাশের নিচে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়েব ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব বাসারাত আলী গাজীর সভাপতিত্বে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে বক্তব্য রাখেন ভোমরা স্থল বন্দর রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভোমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ভোমরা ইউপি সদস্য সাজ্জাত হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশিদা বেগম, সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এবং অভিভাবক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ইউপি সদস্য সন্তোষ ঘোষ, ভোমরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বেগম, অভিভাবক আব্দুল মমিন, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক কাত্তিক চন্দ্র ঘোষ, মফিজুল ইসলাম, কাত্তিক সরদার, শরিফুল ইসলামসহ অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, এলাকার গুটিকয়েক প্রভাবশালী মৎস্য ঘের মালিক দের অবহেলার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ায় স্থায়ী জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে এদিকে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনকে সরজমিনে এসে এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বন্দর এলাকাবাসি।
Leave a Reply